
২০২২-০৪-১৯ ০৯:৫২:১৯ / Print
এর আগে গত ১২ এপ্রিল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ডিআইজি, এসপিদের নিয়ে সভা করা এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র প্রণয়নের স্থান এবং কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান বিটিআরসিকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাবিরুল ইসলাম রমজান এবং ট্রাফিকের অবস্থায় বিবেচনায় পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে সরবরাহের অনুরোধ করেন। এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক অসিত বরণ সরকার বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পাদনে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে মেটাল ডিটেকটর স্থাপন ও নারী পরীক্ষার্থীদের কানে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা যাচাইয়ে গুরুত্বারোপ করেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং গুজব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে সহযোগিতা প্রদান এবং সার্বিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা প্রদানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি এ ছাড়া পরীক্ষার দিন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য ডকুমেন্ট ঢাকা হতে গ্রহণ, জেলায় সংরক্ষণ এবং উত্তরপত্র ঢাকায় প্রেরণ করতে জেলা প্রশাসকেরা প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবেন। কোনো জেলায় পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে বিভাগীয় কমিশনাররা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারবেন।
পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োগে জননিরাপত্তা বিভাগ ও পুলিশ অধিদফতর ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া টহলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে র্যাব মহাপরিচালক।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। পরে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর। আবেদন করেছেন প্রায় ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।
বিডিশিক্ষা// এএ