
২০২২-০৬-২০ ১১:৪৩:১০ / Print
বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৬২৬টি জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। রোববার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এসব জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে তার মধ্যে মেরামতযোগ্য স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বড় রকমের সংস্কারের আওতায় বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে সেসব ভবন ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন মেরামতযোগ্য নয় 'অকেজো ঘোষণা কমিটির' মাধ্যমে সেসব ভবন অকেজো ঘোষণা করা হলে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এবং বাজেটে অর্থ সংস্থান সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ বা নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, করোনা মহামারির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে সমাপনী পরীক্ষা আপাতত বন্ধ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি কার্যক্রম চলমান।
ক্ষমতাসীন দলের আরেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এ বিষয়ে নতুন প্রকল্প নেওয়ার লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হওয়ার পর সুপারিশের আলোকে সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ফিডিংয়ের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
বিডিশিক্ষা/এফএ