
২০২২-০৮-০৩ ০৪:৪৮:৪৯ / Print
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কাউকে সন্দেহ হলে তার ওএমআর শিট আলাদা রাখতে হয়। বায়েজিদ খানকে (তানভীরের হয়ে পরীক্ষাদাতা) পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। সে প্রক্সি দিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এগুলোর পরও তানভীরের ওএমআর আলাদা হয়নি। প্রক্টর দপ্তর থেকেও আমাদের জানানো হয়নি, এই রোল নম্বরধারীর হয়ে প্রক্সি দেওয়ায় একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্রেশ ওএমআর এসেছে, মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন সেটি বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়ার পরও ওই ওএমআর বাতিল না হওয়ায় পরীক্ষকের দায় দেখছে ভর্তি উপকমিটি। এ জন্য দায়িত্ব অবহেলার কারণে পরীক্ষককে তলব করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, গ্রুপ-২ থেকে মু. তানভীর আহমেদ ৯২.৭৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে আজ দুপুরে তার ফল বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন ২৬ জুলাই প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বায়েজিদ খান গ্রুপ-২ এর পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে।
বিডিশিক্ষা// এএ