বাংলা-ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পদগুলোতে ৩০০ নম্বরের পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের পাশাপাশি ১০০ নম্বরের সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ প্রার্থীরা স্কুলের বাংলা-ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এতোদিন নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির সুযোগ পেলেও মাদরাসায় সে সুযোগ পেতেন না। ফলে, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পাওয়া বেশ কয়েকজন নতুন শিক্ষকের এমপিওভুক্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিলো।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ নিয়োগের যোগ্যতা সংশোধন করে সে জটিলতা নিরসন করেছে । পদগুলোর নিয়োগ যোগ্যতা সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ এমপিও নীতিমালায় মাদরাসায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছিলো পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩০০ নম্বরসহ স্নাতক। কিন্তু স্কুলের বাংলা ও ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩০০ নম্বরসহ স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির সুযোগ পেতেন। কিন্তু মাদরাসার এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির সুযোগ পেতেন না। 

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ বেশ কয়েকজন নিবন্ধিত প্রার্থীকে মাদরাসায় নিয়োগ সুপারিশ করে যারা পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১০০ নম্বরের স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। তাই এ দুই পদে নিয়োগ যোগ্যতা সংশোধন করে জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এতে স্কুল ও মাদরাসায় বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতায় সামঞ্জস্যতা এসেছে।

মাদরাসায় বাংলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির নতুন যোগ্যতা হলো, ৩০০ নম্বরের বাংলাসহ স্নাতক ডিগ্রি-সমমান বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর। তারা ১১ গ্রেডে বেতন পাবেন। বিএড করা থাকলে শিক্ষকরা ১০ গ্রেডে বেতন পাবেন। 

আর মাদরাসায় ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির নতুন যোগ্যতা হলো, ৩০০ নম্বরের ইংরেজিসহ স্নাতক ডিগ্রি-সমমান বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর। তারা ১১ গ্রেডে বেতন পাবেন। বিএড করা থাকলে শিক্ষকরা ১০ গ্রেডে বেতন পাবেন। 

বাংলাদেশ শিক্ষা/এফএ