
২০২২-১১-১০ ০৮:২৫:০৭ / Print
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার ডিপিইওর কার্যালয়ে জেলার সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। এতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এখন থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দিক-নির্দেশনায় স্ব-স্ব স্কুলের শিক্ষকদের পাঠ্য পুস্তক পঠন ও দক্ষতা যাচাইয়ের বিষয়টি মনিটরিং করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের পাঠ্যপুস্তক পঠন ও দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা নিতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও জেলার দুই হাজার ১০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষককে পরীক্ষার টেবিলে বসানোর খবরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
মাঠ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা নেওয়া শিক্ষকদের জন্য ছিল অপমানের শামিল। তাই আমরা চাকরি রক্ষায় এই পরীক্ষা বন্ধের জন্য সরাসরি প্রতিবাদ করতে না পারলেও পরোক্ষভাবে মতামত দিয়ে আসছিলাম।
ডিপিইও আবদুল মান্নান বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলি- এটাকে আমি পরীক্ষা বলিনি, এটা ছিল বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক পঠন ও মানযাচাই অভীক্ষা। যাকহোক, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষকদের পরীক্ষা ভীতি আর থাকার কথা না। তবে সবকিছুই করা হচ্ছে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য। আশা করি, শিক্ষকরা আন্তরিক হবেন।
বিডিশিক্ষা// এএ