ঢাকা, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

প্রাথমিক বিদ্যালয় এক শিফটে চালানোর যে নির্দেশনা দেওয়া হলো

বিডিশিক্ষা রিপোর্ট

২০২৩-০১-০৪ ০৮:১৬:২৯ /

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক শিফটে পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক থাকা স্কুলগুলো এক শিফটে চালানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আর যেসব স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ না থাকা এক কিলোমিটারের মধ্যের দুইটি স্কুলগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে পাশাপাশি দুইটি বিদ্যালয়ে দুইভাগ করে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত একটি বিদ্যালয়ে এবং অন্যটিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ না থাকা স্কুলগুলো তথ্য বিশ্লেষণ ও দুইটি বিদ্যালয়ে দুইভাগ করে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে তথ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন শাখার সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, জেলায় যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে অবিলম্বে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জেলায় যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ বা শিক্ষক নেই বা উভয়ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে, এমন কাছাকাছি অবস্থিত (সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটার দূরত্বের) দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রহণযোগ্য দূরত্বের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সংখ্যা এবং বিদ্যালয়ের ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে পাশাপাশি দুইটি বিদ্যালয়ে দুইভাগ করে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব স্কুল এক শিফটে চালানোর নির্দেশ দেয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিলো, যেসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে অবিলম্বে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ বা শিক্ষক নেই বা উভয়ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে, এমন কাছাকাছি অবস্থিত (সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটার দূরত্বের) দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত কার্যক্রম চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য দূরত্বের বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সংখ্যা এবং বিদ্যালয়ের ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে পাশাপাশি দুইটি বিদ্যালয়ে দুইভাগ করে সিঙ্গেল শিফটে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে। দুইটি বিদ্যালয়ের মাঝে শ্রেণি বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত একটি বিদ্যালয়ে এবং অন্যটিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জনবলের মাধ্যমে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিঙ্গেল শিফট চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

গত ৩০ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, জানুয়ারি থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফটে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। সারাদেশে একই সময়ে স্কুল শুরু ও শেষ করার চেষ্টা করা হবে। ক্লাসরুম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করা হবে।

বিডিশিক্ষা// এএ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

শিক্ষকের সনদ যাচাই অনলাইনের পাশাপাশি হার্ডকপিতে

শিক্ষকের সনদ যাচাই অনলাইনের পাশাপাশি হার্ডকপিতে

অফিস ও বিদ্যালয় আকষ্মিক পরিদর্শনের নির্দেশনা

অফিস ও বিদ্যালয় আকষ্মিক পরিদর্শনের নির্দেশনা

যেভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

যেভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে