
২০২৩-০৩-০৫ ২১:৪২:১৬ / Print
৫ মার্চ (রবিবার) উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ছুটির তালিকার বৈষম্য নিরসনকল্পে প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি দিয়েছে 'বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ'। উক্ত স্বারকলিপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষাকে সদয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্দু ভুষন দেব, উপদেষ্টা, সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, এম এ ছিদ্দিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক, সামছুদ্দিন বাবুল ( লক্ষীপুর), সাজিদা জাহান (হবিগঞ্জ), আছমা খানম (গোপালগঞ্জ), আঃ হালিম সরকার (কুমিল্লা), রাজু আহম্মদ লেলিন (গোপালগঞ্জ), আ. কাদের(কুমিল্লা), আলমগীর হোসেন হাওলাদার (বাগেরহাট), ফরিদ আহাম্মদ (শেরপুর), মিজানুর রহমান (নেত্রকানা) ও জাকির হোসেন (মাদারিপুর)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পবিত্র রোজার পুরো মাসে ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ নেতারা।রোববার সন্ধ্যায় সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ শিক্ষাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পবিত্র রোজার পুরো মাস ছুটি দিয়ে প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীদের ছুটির বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশাকরি কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে অবশ্যই তিনি আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি ঘোষণা করবেন।
পরিষদের দেয়া স্মারকলিপি বলা হয়েছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৫৪ দিন। উচ্চবিদ্যালয়ের ছুটি ৭৬ দিন। প্রাথমিক ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৭০ দিনের বেশি। স্বাধীন দেশে একই অভিভাবকদের সন্তান উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক, মাদরাসা, কলেজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে থাকেন। ছুটির বৈষম্য থাকায় পারিবারিক, সামাজিক উৎসব, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ নানা স্থানে বেড়াতে যেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রমজান মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, কেবল খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশুর পড়াশোনা আনন্দদায়ক করার লক্ষে খেলাধুলা ও বেড়ানোর সুযোগ বেশি থাকা কাম্য। বিশেষ করে প্রাথমিকের শিশুরা পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ বা মক্তবে পড়াশোনা করে থাকেন।
তৃতীয় শ্রেণি থেকে অনেক শিক্ষার্থী রোজাও রেখেন। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান, তাই প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকে অতি নগণ্য। এছাড়াও অভিভাবকদের মাঝে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্তমানে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখাসহ কিন্ডারগার্টেনে অসংখ্য শিশু অধ্যয়ন করছে। বিশেষকরে পবিত্র রমজান মাসে শিশুদের মধ্যে ছুটির বৈষম্যর কর্ম নিয়ে প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সোনার বাংলা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ছুটির বৈষম্য দূর করার প্রত্যাশা রইলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অনলাইন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের দাবিটি অত্যন্ত যৌক্তিক।আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই রমজানের পুরো মাস প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল।পরবর্তীতে তা চলমান ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই ছুটি কেন বাতিল করা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি রাখার যে প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রস্তাব ছিলনা। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও দুই দিন ছুটি কার্যকর হয়। তাই আমি আশাবাদী এবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় পুরো রমজান মাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি থাকবে।
বাংলাদেশ শিক্ষা/এফএ