ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া কী চলমান থাকবে?

জাফর আহমেদ

২০২৩-০৯-১৯ ১১:২৬:০৫ /


২০১৫ সালে সিলেটর গোয়াইনঘাট উপজেলার রানীগাও  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ৫০% চাকরি গননা করে জেষ্ঠ্যতা দাবি করে হাইকোর্ট বিভাগে ১২৯৭৭/২০১৫ মামলা দায়ের করেছিলেন।এই মামলার অনুরূপ ১৪৩৪৪/২০১৭ এর সাথে একই বেঞ্চে শোনানি শেষে১১.০৩.২০১৯ তারিখে  রায় হয়।

রায়ে  হাইকোর্ট সরাসরি নিয়োগকৃত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে হবে জাতীয়করণ শিক্ষকদের অবস্থান এটা বেআইনি ঘোষণা করেন।তারপর উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরকার  ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ( কাসেম- শাহীন) নেতৃবৃন্দ ৭১/২০২০,১২৭১/২০২০ ও ১৩২৬/২০২০ লীভ টু আপিল দায়ের করলে উভয় মামলার রায় চেম্বার জজ ০২.০২.২০২০ তারিখে স্থগিত করে শোনানির জন্য পুর্নাঙ্গ বেঞ্চে স্থানান্তর করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ শিক্ষাকে বলেন কমর উদ্দিন গং চেম্বার জজের স্থগিতাদেশ গুলো আদালতে উপস্থাপন না করে,আপিল চলমান থাকার অজুহাতে,আপিল শোনানি চলা কালে পদোন্নতি স্থগিত চেয়ে ১৩৮৯৭/২০২২ রীট দায়ের করেন। প্রথমে১৪.১১.২০২২ তারিখে  ২ মাস,পরে ১২/১২/২০২২ তারিখে ০১ বছরের  স্থগিতাদেশ বর্ধিত করেন।কিন্তু বর্ধিতকরণ আদেশের আগেই সরকার ও আমাদের লীভ পিটিশন গুলো২০.১১.২০২২তারিখে মঞ্জুর করে হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়গুলো স্থগিত করে দেয়। এই তথ্যটি গোপন করে তিনি আদালতের সাথে প্রতারনা করেছেন।

তিনি আরো বলেন ১৩৮৯৭/২০২২ রিটে ১৪/১১/২২ তারিখের স্থগিতাদেশ দ্বারা পদোন্নতি থেমে যেতে পারে ভেবে আমরা উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল ৪১৫/২০২৩ দাখিল করি। শোনানি শেষে চেম্বার জজ আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে পুর্নাঙ্গ বেঞ্চে স্থানান্তর করে।কিন্তু  কতিপয় শিক্ষকের  বিরোধীতার জন্য আমরা শোনানি করতে পারিনি।

তিনি বলেন কোর্ট এখন বন্ধ, খোলা হলেই ১৩৮৯৭/২০২২ খারিজ করে দিতে পারব,ইনশাআল্লাহ।যেহেতু মুল মামলাটিই অ্যাপিলেট বেঞ্চ স্থগিত করে আপিল গৃহীত হয়েছে, তাই হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ের কার্যকারীতা এখন আর নাই। 

আদালত অবমাননার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার প্রশ্নই ওঠে না।তাছাড়া ১২৯৭৭/২০১৫ রীটের একমাত্র পিটিশনার অনেক দিন আগেই অবসরে চলে গেছেন। তাকে সিনিয়রিটি প্রদান করার দাবী শুধুই হাস্যকর।কমর উদ্দিন গং রীটে নিয়োগ বিধির ৬৫% পদোন্নতির কোটার অনুচ্ছেদটি মুছে দিয়ে, কোর্টে দাখিল করে, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, তার এই অপরাধের জন্য শাস্তির আওতায় আনা যেতে পারে। Contempt petition ৫৩/২০২৩ এখনো শুনানিই হয়নি এবং সরকারকে কোন শোকজও করেনি,শোনানির তারিখ  আগামী ১৬/১০/২০২৩ খ্রীঃ।তাই পদোন্নতির কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নাই। আমি মনে করি রেফারেন্স মামলাগুলো এক সাথে উঠলে মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বাংলাদেশ শিক্ষাকে বলেন, মামলার সামগ্রিক পর্যোলচনায় আমি মনে করি পদোন্নতি প্রদানে কোন বাঁধা নেই।তাই পদোন্নতি কার্যক্রম চালু ও আরো গতিশীল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিডিশিক্ষা/জাআ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

প্রাথমিকের উপজেলা শিক্ষার অ্যাডহক কমিটি কত সদস্যের হবে জানালো মন্ত্রণালয়

প্রাথমিকের উপজেলা শিক্ষার অ্যাডহক কমিটি কত সদস্যের হবে জানালো মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ডিজি নিয়োগ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ডিজি নিয়োগ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেলেন ২০৮ জন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেলেন ২০৮ জন