২০২৪-০১-২৬ ২৩:৫৪:০৬ / Print
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে খালের পাড় থেকে শাহ কামাল (৩৮) নামের এক দিনমজুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ভাইটকামারী গ্রামের লিলু খালের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাবেদর জন্য শাহ কামালের মামা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহত শাহ কামাল উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের ভাইটকামারী গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শাহ কামাল রাতের খাবার খেয়ে বাজার এলাকায় চা খেতে বের হন। পরে গভীর রাতেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী শেফালি বেগম (৩২) প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে শাহ কামালের খোঁজ করে পাননি। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এক যুবক ভাইটকামারী লিলুখালের পাড়ে তাঁর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
পরে জরুরী সেবা ৯৯৯–এ খবর দিলে নালিতাবাড়ী থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহ কামালের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরাতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে খবর পেয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগমসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও হত্যা রহস্য উন্মোচনে সিআইডিসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগ কাজ করছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানায়, ২০১৮ সালে ভাইটকামারী গ্রামের ফজল মিয়ার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাগনে শাহ কামাল ৫৫ শতক জমি বর্গা নেন। পরে ২০১৯ সালে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ফজল মিয়ার পরিবারের ঝগড়া বাধে। তখন হাবিবুর রহমানের গুলিতে ফজল মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আলীর হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় হাবিবুর, তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও ভাতিজাসহ কয়েজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। তাঁদের সবাই এখন জামিনে রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফজল মিয়া সেই জমি বুঝিয়ে দেননি শাহ কামালকে। ৭০ হাজার টাকাও দেননি। এ নিয়ে শাহ কামাল বর্গা নেওয়া জমির টাকা ফেরত পেতে একাধিক শালিস করেও কোনো সুরাহা পাননি।
এ বিষয়ে যোগানিয়া ইউপি চেযারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, শাহ কামালের সঙ্গে ফজল মিয়ার টাকা পয়সার একটা বিরোধ ছিল। তবে কী কারণে শাহ কামালকে কে বা কারা এভাবে হত্যা করেছেন, তা ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতভাবে যারা জড়িত তাঁদের চিহিত করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মামাকে স্বপরিবারে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি শিক্ষা/জাআ