২০২৪-০২-০৩ ০১:২৪:০০ / Print
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে স্কুলের শিক্ষকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-১) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার শেখের ভিটা এলাকার মির্জা আজম চত্ত্বর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে ও পূর্ব বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও ইসলামপুরের কান্দারচর ফকিরবাড়ি এলাকার মো. ছাবেদ আলীর ছেলে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মিনার (৩৬)।
জামালপুর ডিবির ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, শুক্রবার সকালে সারা দেশের ন্যায় জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একদল প্রতারক চক্র আগের দিন বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে সহকারী শিক্ষকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি প্রবেশপত্র, চারটি মোবাইল ফোন, ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড ও বিভিন্ন প্রার্থীদের থেকে নেওয়া নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানার প্রতারণার মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শিট পরিবর্তন করার অভিযোগে সুমন (২৭) নামে এক পরীক্ষার্থীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া শিটের নিচের অংশ পূরণ না করায় ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীন উদ্দীন এ রায় দেন। পরে সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রামনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মহসীন উদ্দীন জানান, শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় অভিযুক্ত সুমন ওএমআর শিট পরিবর্তন করেন। বিষয়টি দায়িত্বে থাকা পরীক্ষকের নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।