
২০২৪-০৯-১৯ ১১:৪৯:৫৪ / Print
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ অথবা ৩৫ বছর পর্যন্ত হলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হবে। অপরদিকে অবসরের বয়সসীমা যদি ৬৫ বছর করা হয় তাহলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
ব্যাখ্যা: চাকরীতে অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৬৫ বছর করে যে তারিখ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে সেদিন থেকে চাকরির মেয়াদ আরো ছয় বছর বেড়ে যাবে। অর্থাৎ প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ বছরের মধ্যে কোন চাকরির পদ শুন্য হবেনা। ফলে মেধাবীদের ৬ বছরের জন্য চাকরিতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। পিতা- মাতারা সন্তানকে নিয়ে সবসময় স্বপ্ন দেখেন তাদের সন্তানরা চাকরি করে একদিন পরিবারের হাল ধরবে।তখন তাদের পরিবারের কি হবে! দেশে বেকারত্বের হার মারাত্মক আকার ধারণ করবে। যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হবে।দেশে অরাজকতা তৈরি হবে।
যেসকল শিক্ষিত বেকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছেন অবসরের বয়স ৬৫ বছর করা হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁরা।কারণ যারা আন্দোলন করছেন তাদের অধিকাংশেরই বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের উপরে। অর্থাৎ অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি হলে তাদের আর চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ থাকবেনা।
পরিশেষে বলব অবসরের বয়সসীমা ৬ বছর বাড়ানোর জন্য যারা প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা ৬ বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করবেন অপরদিকে দেশে কোটি কোটি বেকার তৈরি হবে। তাই আমাদের উচিত নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে দেশের শিক্ষিত মেধাবী যুব সমাজের কথা ভাবা।কারণ তাঁরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। মেধাবী যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের প্রতিটি পরিবারে।
লেখক: ফরিদ আহাম্মদ, শিক্ষক ও কলামিস্ট
নালিতাবাড়ী, শেরপুর।
ই- মেইল: faridptg110@gmail.com