
২০২৫-০৪-১৯ ২৩:১৪:৩২ / Print
আজ ১৯ এপ্রিল (শনিবার) মাগুরায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় শেষে 'সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডের জন্য আন্দোলন' শীর্ষক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান- "প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গঠিত কনসালটেন্ট কমিটির মতে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করতে গেলে শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো প্রয়োজন।
এ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদান সম্ভব নয়। বর্তমান বেতন কাঠামোতে সহকারী শিক্ষকদের যখন নিয়োগ হবে তখন তারা ১২ তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। চার বছর শেষে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে ১১ তম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। প্রধান শিক্ষকরা পাবেন দশম গ্রেড।
উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয় কনসালটেন্ট কমিটির সুপারিশ সমর্থন করে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
শিক্ষকদের বদলি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বদলীর ক্ষেত্রে আমরা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে স্বচ্ছ বদলীর চেষ্টা করছি। শহরে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক বেশি, গ্রামে ছাত্রের তুলনায় শিক্ষক কম এ প্রশ্নের আলোকে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকগণ উপজেলার ভিত্তিতে নিয়োগ পান। ফলে তাদের উপজেলায় থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের বড়সংখ্যক পদ খালি রয়েছে। এই সংকট দূর করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেছেন, ‘বিধিমালা পাস হয়ে গেলেই এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ও মান উন্নয়নে একটি পরামর্শক কমিটি করেছিলাম। এই কমিটি প্রধান শিক্ষক পদকে দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের চার বছর পর সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সুপারিশকে যৌক্তিক মনে করছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে সরকারে পলিসি মেকারদের কনভেন্স করে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা।আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজ করে যাচ্ছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা খাতে আমরা অনেক ভালো শিক্ষক পাচ্ছি এবং তাদের সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগ তাদের জন্য আছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে যে, শ্রেণিকক্ষে আমরা সেটার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখতে পাচ্ছি না।
শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সহকারী শিক্ষকের বড় সংখ্যক পদ খালি রয়েছে। এই সংকট দূর করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিধিমালা পাশ হয়ে গেলেই এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে তাদের দেওয়া প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা।এ ছাড়া প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর কথাও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘মামলার জন্য আমাদের প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন সমস্যা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। তখন প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন হলে অনেক পদ খালি হবে।’
এ সময় মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
বিডিশিক্ষা /এফএ