
২০২৫-০৫-২৮ ২২:৪৪:২১ / Print
১১তম গ্রেডের দাবিতে টানা তিন দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এই কর্মসূচিতে কেউ হয়েছেন শোকজ। কাউকে আবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিন দফা দাবির আন্দোলনে সাড়া ছিলনা কর্তৃপক্ষের। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেয়নি। দেওয়া হলে তা সবাইকে জানানো হবে।
বুধবার টানা তিন দিন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো ১১তম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি।
জানা গেছে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ৩ দিন পর এই অচলাবস্থা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন। তবে এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সময় জানা যায়নি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি চলছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষকের কর্মবিরতির ফলে এক কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
উল্লেখ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।
বিডিশিক্ষা/জাআ