
ঢাকা, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
২০২০-০৮-৩১ ০১:১০:৪৯ / Print
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নব্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে গ্রেডেশনে নিয়ে সমস্যা চলছে। একটা গ্রুপ আইনের ফাঁক ফোঁকড় খুঁজে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন, অন্য পক্ষ মনে করছেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে নানাবিধ সমস্যা সৃস্টি হচ্ছে।
মামলাবাজদের মামলায় জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন। আটকে যাচ্ছে পদোন্নতি। সৃস্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, তৈরি হচ্ছে অবৈধ চাঁদাবাজি। ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্খিত উন্নয়নের ধারা। এসব সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয়, সিনিয়র সচিব মহোদয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি।
তাই নিজেদের ইচ্ছামতো প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার অধিকার কারো নেই। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট বিণীত অনুরোধ উভয়পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে মামলায় জর্জরিত প্রাথমিক শিক্ষাকে বাঁচান। কঠোরভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে বিশৃঙ্খলা বাড়বে এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের অভিভাবকগণ অত্যন্ত আন্তরিক। তাই তাঁদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা একটু বেশি। আমাদের বিশ্বাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এ সমস্যার সুন্দর একটি সমাধান করবেন।(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: মো: আনিসুর রহমান
আহবায়ক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ও সভাপতি, বাংলাদশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ।