হতে চেয়েছিলাম রাখাল, হয়ে গেলাম শিক্ষক: ফরিদ আহাম্মদ

সম্পাদকীয় || ২০২১-০৬-২৮ ২২:৩৪:০৯

image


শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার অজপাড়া গ্রাম গাছগড়া তে আমার জন্ম। একটা সময় ছিল, যখন বৃষ্টির দিন আমাদের গ্রামে কেউ যেতে চাইত না। না যাওয়ার কারণ হল, হাটু পর্যন্ত কাদার উপর দিয়ে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করতো হতো। 

গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা সাঁকো দিয়ে আমরা গ্রাম থেকে বের হতাম। আমাদের গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। পাকিস্তান আমলে আমার আব্বা আমার নানীর দেয়া জমির উপর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। সে সুবাদে আমাদের গাছগড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও সরকারিকরণ হয়।

আব্বা নিজের প্রতিষ্ঠা করা বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়ে অন্য বিদ্যালয় কিছুদিন চাকরি করার পর গাছগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন এবং এখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। 

এখন অবশ্য সে অবস্থা নেই। এখন সেই বাঁশের সাঁকোতে নির্মাণ হয়েছে পাকা ব্রিজ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর আলো। যাই হোক, আমি গাছগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি তখন কোন বিল্ডিং ঘর ছিল না। টিনের চাপরার মধ্যে আমরা পড়াশোনা করতাম।
৫ম শ্রেণিতে আমিসহ ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম মাত্র ৬ জন। ২ জন মেয়ে, আমরা বাকী ৪ জন ছেলে।

আমার লেখাপড়ার প্রতি খুব একটা মনোযোগ ছিল না। আমাদের কয়েকটা গরু ছিল। গরু রাখার জন্য বছর চুক্তি কাজের লোক নিয়োগ করা হতো। আমার মূল কাজ ছিল স্কুল ফাঁকি দিয়ে নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে কাজের ছেলের সাথে সারাদিন গরুর সেবা-যত্ন করা। এই সুযোগে কাজের ছেলে তার অনেক কাজ আমাকে দিয়ে করিয়ে নিত। এতে অবশ্য আমার কোন মন খারাপ হতো না। বরং এসব কাজ না করলেই আমার খারাপ লাগতো।

নিজেদের গরু রাখার পাশাপাশি মহিষের পিঠের উপরে চড়ে বেড়ানো আমার নেশায় পরিণত হল। আমাদের মহিষ ছিল না, তাই অন্যদের মহিষের পিঠে চড়ে বেড়াতাম। এতে অবশ্য মহিষের মালিকের কাছ থেকে কয়েকবার উত্তম-মধ্যমও খেয়েছি। এভাবে চলতে চলতে আমার মূল স্বপ্ন হয়ে গেল, আমি বড় হয়ে রাখাল হবো।

লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ আমার একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। এর ফাঁকে লেখাপড়া যতটুকু চালিয়ে গেলাম, তা আম্মার চাপের কারণে।তিনিই আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পার হওয়ার মূল কারিগর।  আম্মার একান্ত প্রচেষ্টায় ৫ম শ্রেণি পাস করার পর আমাকে ভর্তি করে দেয়া হল নালিতাবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যায়ে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হয়েছে। হাইস্কুলে ভর্তি করে আব্বা আমাকে একটি বাইসাইকেল কিনে দিলেন। সেই সাইকেল দিয়েই কয়েকদিন স্কুলে আসা যাওয়া করলাম। কিন্তু বৃষ্টির দিনগুলোতে রাস্তাঘাট এতই খারাপ হয়ে যেত যে, আমার সেই বয়সে প্রতিদিন প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ রাস্তা আসা যাওয়া করা খুবই কঠিন ছিল।

তাই প্রায় সময়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে আমাদের কাজের ছেলের সাথে সময় কাটাতাম অথবা পাখি মারার জন্য বনে-জংগলে ঘুরে বেড়াতাম। এভাবে ফাঁকি ফুঁকি দিয়ে কোনমতে ৮ম শ্রেণি পাস করলাম। ৮ম শ্রেণি পাস করার পর আমার লেখাপড়া করার সুবিধার জন্য আব্বা নালিতাবাড়ী শহরে বাসা কিনলেন।অর্থাৎ ৯ম শ্রেণিতে উঠেই আমি আমাদের নিজের বাসায় থাকতে লাগলাম।

শহরে আসার পর নতুন আরেকটি নেশা আমার উপর ভর করলো। তা হল, সিনেমা দেখা। নেশাটা এই পর্যায়ের গিয়ে ছিল যে, আম্মার মুরগির ডিম চুড়ি করেও আমাকে সিনেমা দেখতে হয়েছে। 

একদিনের কথা মনে পড়ে। আব্বা আর আমি এক সাথেই নালিতাবাড়ী বাজারে এসে একটি হোটেলে বসে মিষ্টি খাচ্ছিলাম। তখন আমাদের পাশ দিয়ে দুই জীবন ছবির মাইকিং হচ্ছিল। মাইকিং শোনে আমার ছবি দেখার নেশা উঠে গেল। আমি আব্বাকে বললাম, "আমি একটু আসছি"। এই বলে সেখান থেকে বের হয়ে সোজা সিনেমা হলে চলে গেলাম। যখন আমি সিনেমা হলে মনোযোগ দিয়ে ছবি দেখছি, তখন আব্বা আমাকে খোঁজা-খোঁজি করে না পেয়ে হোটেলেই অনেকক্ষণ বসে ছিলেন। সেখানে বসে থাকার সময় হঠাৎ প্রেসার লো হয়ে আব্বা বেহুশ হয়ে গেলেন। তখন সেখানে উপস্থিত অনেকেই আব্বার মাথায় পানি দিয়ে সেবা যত্ন করে সুস্থ করে বাড়ি পৌঁছে দিলেন। সিনেমা দেখা শেষ করে আমি যখন বাড়ি ফিরলাম, তখন বুঝলাম বাড়ির পরিবেশ একটু ভিন্ন। আব্বা আমাকে মনের দুঃখে অনেক কথা বললেন। সেদিন আব্বার চোখের পানি দেখে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল।

এরপর থেকে আমার কিছুটা পরিবর্তন এসেছিল। আমার লেখাপড়ার সুবিধার জন্য আব্বা নিজে কষ্ট করে হলেও আমার সকল আবদার রাখার চেষ্টা করতেন। তিনি আমার জন্য একটি খাবার হোটেল বুকিং করে দিয়েছিলেন। সেখানে আমি ও আমার  খাওয়া দাওয়া করতাম।মাঝে মধ্যে বন্ধুদেরও খাওয়াতাম। মাস শেষে বেতন পেয়ে আব্বা সেই বিল পরিশোধ করে দিতেন।

শুধু তাই নয়, একটি লাইব্রেরিও আমার জন্য বুকিং করা ছিল। আমার যখন প্রয়োজন হতো তখনই সেখান থেকে বই নিয়ে আসতাম। আব্বা বেতন পেয়ে এর দাম পরিশোধ করতেন। 

এভাবে চলতে চলতে আমার টেস্ট পরীক্ষা এসে গেল। টেস্ট পরীক্ষা দিলাম। আমাদের সময় টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন খুব কঠিন হয়েছিল। টেস্ট পরীক্ষার ফল যখন বের হল সবাই অবাক হয়ে গেল। কারণ, আমাদের ক্লাসের ফাস্ট বয় ও সেকেন্ড বয়সহ অনেকেই ফেল করে বসল। আমিসহ মাত্র কয়েকজন ছাত্র টেস্ট পরীক্ষায় কৃতকার্য হলাম। পরে অবশ্য বিশেষ বিবেচনায় ফাস্ট বয় ও সেকেন্ড বয়কে ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার অনুমিত দেয়া হয়েছিল। (বর্তমানে আমাদের ক্লাসের ফাস্ট বয় আমার বন্ধৃ তুলিপ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। আর সেকেন্ড বয় বন্ধু কামরুল হাসান রিপন সরকারি হাইস্কুলে শেরপুরের ভিক্টোরিয়া একাডেমিতে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন)। 

টেস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আমার ভিতর লেখাপড়া করার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে গেল। ভালো রেজাল্ট করার জন্য আমি রাত-দিন পরিশ্রম করতে লাগলাম। কিন্তু কম সময়ে খুব ভালো প্রস্ততি নিতে পেরেছি, তা বলা যাবে না। তারপরও মোটামোটি ভালোভাবে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করলাম। অতঃপর ১৯৯৩ সালে ৭৪৮ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করলাম। এসএসসি পাস করার পর আমার লেখাপড়ার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হলো। নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে গেলাম এবং মাষ্টার্স করার পর চাকরির জন্য প্রস্ততি নিতে থাকলাম।

 আব্বার একান্তই আগ্রহ ছিল, আমি যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। তাই আব্বার আগ্রহের প্রতি সম্মার রেখে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করলাম। আমি যেদিন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছিলাম আব্বা আমার সাথে শেরপুর গিয়েছিলেন। আমার সময় কোন নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ছিল না। ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সম্ভব তিন মাস পর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। আমি রিটেনে টিকে গেলাম। চাকরির জন্য জীবনের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা দিব, কিন্তু কি প্রস্ততি নিব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আব্বার সাথে পরামর্শ করলাম। তিনি বললেন, কোন সমস্যা নেই। আল্লাহর রহমত তোমার সাথে আছে, চাকরি হয়ে যাবে।

মৌখিক পরীক্ষার কার্ড পেয়ে শেরপুর ডিসি অফিসে পরীক্ষা দিতে গেলাম। আব্বাও আমার সাথে গেলেন। আমি যখন মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার জন্য ভাইবা বোর্ডে প্রবেশ করছিলাম, তখন আমি খেয়াল করলাম, আব্বা আমার জন্য অনেক দোয়া পড়ছিলেন। আমার পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছিল। আমার যতদূর মনে পড়ে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। আর সকল প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিয়েছিলাম।

 মৌখিক পরীক্ষার শেষে সম্ভবত এক/দেড় মাস পর আমাদের গ্রামে ওয়ার্ল্ড ভিশন অফিসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় আমার এক প্রতিবেশি মামা আব্দুর রহমান আমার কাছে দৌড়ে গেল। আমি তার দৌড় দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, "কি  হয়েছে?" সে হাপাতে হাপাতে উত্তর দিল, "মামা আপনার চাকরি হয়েছে। আপনার এক বন্ধু আপনাদের বাড়িতে খবর নিয়ে এসেছে।" 

আব্দুর রহমান আমার চেয়ে বয়সে ছোট। সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হতে স্নাতকোত্তর শেষ করে সরকারি চাকরি করছে।যাই হোক, রহমানের সাথেই বাড়ীতে গেলাম। বাড়ীতে গিয়ে দেখি, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু জমির মিষ্টি নিয়ে এসেছে। তাঁর কাছ থেকেই আব্বা আম্মা সবার আগে আমার চাকরি হওয়ার খবর পেলেন। সেদিন আমার মনে হয়েছিল, সন্তান জন্মের কথা শোনে বাবা মা যে আনন্দ পান, সন্তানের চাকরি হওয়ার কথা শোনেও তার চেয়ে বেশি আনন্দ পান। 

২০০৩ সালের ৪ জুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। আমার পোস্টিং হল আমাদের বাসা হতে প্রায় ১৪ কিঃ মিঃ দূরে পাহাড়ি অঞ্চল বেলতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রথম দিন স্কুলে গেলাম, আব্বা ও আমার বন্ধু জমিরের সাথে রিক্সা দিয়ে। দ্বিতীয় দিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে সাইকেল দিয়ে ১৪ কিঃ মিঃ রাস্তা অতিক্রম করে স্কুলে গিয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে গেলাম। আমার এ্যালার্জির সমস্যা আছে। তাই স্কুলে শেষে বাসায় ফিরে দেখি, আমার সারা শরীর লাল হয়ে গেছে। কয়েক দিন এভাবে কষ্ট করে যাওয়া-আসা করলাম। কিন্তু আমার জন্য এটা ছিল খুবই কষ্টকর। তাই বাধ্য হয়েই আব্বাকে বললাম, আমাকে মটরসাইকেল (বাইক) কিনে না দিলে প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে এভাবে স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আব্বা হয়তো ভেবেছিল, আমি এমনিতেই বলেছি। কিন্তু দুই দিন স্কুলে না গিয়ে যখন বাসায় বসে থাকলাম তখন আব্বা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন, বাইক কিনে না দিলে কাজ হবে না। তাই তৃতীয় দিন বাইক কিনে দিলেন এবং আমি নতুন গাড়ী নিয়ে চতুর্থ দিন স্কুলে গিয়ে তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে নিলাম।

এক সপ্তাহ পরেই আমাকে বগাইচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দেয়া হলো। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পেলাম আব্বার বন্ধু মতিউর স্যারকে। তিনি একজন অমায়িক মানুষ। তিনি আমাকে এতই আপন করে নিয়েছিলেন তা কখনো ভুলার নয়। আমি যাওয়ার তিন মাস পরেই মতিউর স্যার অবসরে চলে গেলেন। তখন বগাইচাপুর স্কুলে আর নিজস্ব কোন শিক্ষক ছিল না। ডেপুটেশন প্রাপ্ত আমি একমাত্র শিক্ষক হিসেবে একটি বিদ্যালয় পরিচালনা করা কত কঠিন তা আমি হারে হারে টের পেয়েছি। 

এভাবেই এক বছর পার করলাম। এর মধ্যেই পদোন্নতি পেয়ে বগাইচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলেন। তাঁর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমার মূল স্কুলে বেলতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করলাম। সেখানে কিছুদিন চাকরি করার পর আবার আমাকে ডেপুটেশন দেয়া হলো বন্ধধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে তিন মাস শিক্ষকতা করার পর জামালপুর পিটিআইতে সিইনএড প্রশিক্ষণে চলে গেলাম। ২০০৫-০৬ শিক্ষা বর্ষে সিইনএড প্রশিক্ষণ শেষ করে পুনরায় বেলতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করলাম। 

সেখানে প্রায় দেড় বছর চাকরি করার পর ২০০৮ সালে আমার বাসা হতে ৫ কিঃ মিঃ দূরে গোজাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন পদ সৃষ্টি (পদ সমন্বয়) করে বদলী হয়ে চলে আসলাম। বর্তমানে আমি এই স্কুলেই কর্মরত আছি। 

২০১৪ সালে প্রথম বিভাগে বিএড এবং ২০১৭ সালে প্রথম বিভাগে এমএড কোর্স সম্পন্ন করি। ২০১৮ সালে শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নিবাচিত হয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারিভাবে ভিয়েতনাম সফর করেছি।

এখন শিক্ষকতা পেশাকে আমি মনে-প্রাণে গ্রহণ করেছি। এটাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। নালিতাবাড়ী উপজেলায় আমাদের পরিবার শিক্ষক পরিবার হিসেবে সুপরিচিত। আমার আব্বা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আমরা তিন ভাই এক বোন। আমার ইমিডিয়েট ছোট ভাই জাফর আহাম্মদ ব্যবস্যার সাথে জড়িত । তার ছোট জোবায়ের আহাম্মদ গাছগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। ছোট বোন জান্নাতুন নাঈম সেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। আমার স্ত্রী সানজিদা বেগম গোজাকুড়া হাতেমিয়া সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। আমার স্ত্রীর একমাত্র ছোট বোন সালমা জাহান বড়ডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। 

পরিশেষে বলব, আমার আব্বা একেএম আব্দুল গণি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক।আমি তাঁকে অনুসরণ করি। জীবনের বাকী দিনগুলো যেন একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে অতিবাহিত করতে পারি, সবার কাছে দোয়া চাই।

লেখক : ফরিদ আহাম্মদ,সহকারি শিক্ষক গোজাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নালিতাবাড়ী, শেরপুর। চিফ এডমিন: PTG - Primary Teachers Guild, E-mail : faridptg110@gmail.com 

সম্পাদক ও প্রকাশক - জাফর আহম্মেদ, সম্পাদকের উপদেষ্টা - মোঃ আল হেলাল, আইটি উপদেষ্টা- জরিফ E-mail: bdshikkha.news@gmail.com, Website: www.bd-shikkha.com

বাংলাদেশ শিক্ষা: রোড নং- ০৪, বারিধারা ডিওএইচএস, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা-১২০৬